Hot Posts

6/recent/ticker-posts

4 Different Flowers Name Bangla Or English | চারটি অদ্ভুত ফুলের উপকারিতা

 পরিবেশ সুন্দর রাখতে মহান আল্লাহ্'তালা আমাদের চার পাশে নানা রকম জিনিস তৈরি করেছেন তার মধ্য অন্যতম হলো ফুল,

ফুলের সুন্দর্যের কোনো শীমা হয়না সে যে স্থানেই থাকে সেই স্থানকেই সুন্দর করে তোলে, আমরা আজকে আমাদের চারপাশের কিছু অজানা ফুলের তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ক্যালিকারপা ফর্মোসানা: ক্যালিকারপা ফর্মোসানা হল বিউটিবেরির একটি প্রজাতি। এটি একটি শোভাময় উদ্ভিদ হিসাবে চাষ করা হয়। বেরির ছোট গুচ্ছের মতো ড্রুপগুলি হালকা-বেগুনি। ড্রুপগুলি হালকা বেগুনি হলেও ফুল সাদা রংঙ্গের হয়ে থাকে। স্ফ্যাগনেটিকোলা ট্রিলোবাটা: স্ফ্যাগনেটিকোলা ট্রিলোবাটা, এটা এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম, সাধারণভাবে যা সিঙ্গাপুর ডেইজি বা বুনো ডেইজি নামে পরিচিত । সূর্যমুখী বা অ্যাস্টেরাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত। দুর্দমনীয় আগাছা হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার আগে নানা দেশে এই গাছ সুন্দর গ্রাউন্ড কভার হিসাবে বাগানে লাগানো হত। অস্ট্রেলিয়াতে একে প্রবর্তন করা হয়েছিল রেলসড়কের দুপাশের সরু এমব্যাঙ্কমেন্ট-এ যাতে মাটি সরে না যায়। এ ছাড়া লাগানো হয়েছিল একটি ছোট জলধারার পাশে, ভূমিক্ষয় রোধ করার জন্য। তবে ফললাভ হয়নি, বন্যায় জলের উপর ভেসে উঠেছে সিঙ্গাপুর ডেইজির ঝাড় এবং নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে জলস্রোত। ক্রোটালারিয়া লংগিরোস্ট্রাটা চিপিলিন: যার অন্যান্য সাধারণ নামের মধ্যে রয়েছে চেপিল, চেপিলিন, চিপিলিন এবং লংবিক র‍্যাটলবক্স। চেপিল মেক্সিকোতে ওক্সাকান রান্নায় পাত্রের ভেষজ হিসাবে ব্যবহৃত একটি ভেষজ। এটির একটি তীক্ষ্ণ স্বাদ রয়েছে যা কিছু স্বাদে সবুজ মটরশুটির মতো, কিছু লোকে এটিকে প্রায় সাবান হিসাবে সনাক্ত করে। গভীর সবুজ পাতা একটি গুল্ম থেকে আসে যা 6 ফুট 2 মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর গভীর শিকড় এটিকে খরা সহ্য করতে দেয়। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে এটি বহুবর্ষজীবী হিসাবে বৃদ্ধি পাবে, তবে 6 বছর পরে প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। ঝোপের হলুদ ফুলও খাওয়া যায়। চেপিল বেশিরভাগই বাড়ির ব্যবহারের জন্য জন্মায়, বা বন্য থেকে সংগ্রহ করা হয়। গাছটিকে আমেরিকায় আগাছা হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং অস্ট্রেলিয়ায় এটি নিষিদ্ধ। সোলানাম সিসিমব্রিফোলিয়াম: এটি এর ইংরেজি বৈজ্ঞানিক নাম। বাংলায় যা ভেষজগুল্ম ‘কন্টিকারি'। ছোট প্রজাতির গাছকে বলা হয় ‘গুল্ম’। আমাদের প্রকৃতিরাজ্যে সহস্রকোটি গুল্ম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এগুলোর বেশি ভাগই ওষুধী গুণাগুণ সম্পন্ন। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত মঙ্গলজনক। বাড়ির পরিত্যক্ত অংশ বা অব্যবহৃত কোণে ধীরে ধীরে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য ছোটখাটো লতাগুল্মগুলোকে আমরা না চিনে ‘আগাছা’ বা বাজে উদ্ভিদ বলে কেটেকুটে উজাড় করে ফেলি। তেমনি একটি ভেষজগুল্ম এর নাম ‘কন্টিকারি’। তাকে অবশ্য একটি নামে চেনার উপায় নেই। নিসর্গবিদরা বহু নামে নামকরণ করেছেন এ গুল্মটিকে। যেমন: কন্টালিকা, কন্টকিনী, কণ্টকারী, ধাবনী, ক্ষুদ্রা, দুস্প্রধার্ষিনী প্রভৃতি নামে ডাকা হয় তাকে। তবে কন্টিকারী নামটি বহুল পরিচিত। এটি মূলত সাউথ আমেরিকান প্লান্ট। এটা রাস্তার ধারের পতিত জায়গায় বেশি হয়। এখন মোটামুটি সারা পৃথিবীতে এর বিস্তৃতি রয়েছে। এটি এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতাগুলো ছেড়া এবং ৪/৫ খণ্ডে বিভক্ত। কন্টিকারি এর বৈশিষ্ট্য হলো ফুলটা সাদা থেকে বেগুনি। ফুলের পাপড়ি ৫টা। পুংকেশরগুলো লম্বা এবং হলুদ রঙের হয়। এর ফলটা খাওয়ার যোগ্য। তবে মানুষ কম খায়। এটা বন্যপ্রাণীদের খাবার। এর ফলটি জন্মনিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। এ গুল্মের মূল বা শেকড় উপকারী এবং ভেষজগুণসম্পন্ন থাকায় কবিরাজরা এটিকে বিভিন্ন কাজে লাগায়। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষেরা এটিকে বিষাক্ত আগাছা মনে করে থাকি। অথচ এটি অনেক উপকারী । সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামনি: সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামনি এর বৈজ্ঞানিক নাম: Mirabilis jalapa , ঠিক সন্ধ্যা নামার মুখে সূর্য যখন তেজ ছেড়ে নরম আলো বিলায় , রাতের আঁধার যখন আসবে বলে উঁকিঝুঁকি দেয়, তখনই নিজের সবটুকু রূপ ছড়িয়ে ফোটে এক ফুল । নাম তার সন্ধ্যামালতী। কেউ কেউ ভালোবেসে তার নাম দিয়েছে সন্ধ্যামণি, কেউ বা ডাকে কৃষ্ণকলি। নামগুলো শুনেই আপনার মনে হবে এ তো আমাদের ফুল, বাঙালির ফুল। সে ভাবনা ভুল প্রমাণিত হবে যখন জানবেন সুদূর পেরু থেকে আগমন তার। পেরুতে আদি নিবাস হলেও নিজ সৌন্দর্য গুণে সন্ধ্যামালতী ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। একেক দেশে, একেক অঞ্চলে অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয় তাকে। ইংরেজিতে এ ফুলের নাম ‘ফোর ও ক্লক’ বা চারটার ফুল। অনেকে আবার চেনেন ‘বিউটি অব নাইট’ বা রাতের সৌন্দর্য নামে। বাংলায় সন্ধ্যামালতী নামের সঙ্গে যেমন সন্ধ্যার সম্পর্ক রয়েছে তেমনি ইংরেজি ফোর ও ক্লক নামটির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে সময়। দুপুর গড়িয়ে চারটে নাগাদ যখন সন্ধ্যার আগমনী প্রহর শুরু হয়, তখনই ফোটে এই ফুল। অবশ্য শীতের সকালেও এর খোঁজ পাওয়া যায়। রঙের বাহারে পরিপূর্ণ এক ফুল সন্ধ্যা মালতী। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গাঢ় গোলাপী রঙের। হলুদ রঙেরও হয় এ ফুল। আবার কখনো দেখা যায় ধবধবে সাদা কিংবা টকটকে লাল রঙে। নিজের ইচ্ছে হলে এক ফুলেই দুই রঙে নিজেকে সাজায় সন্ধ্যামালতী। কিছু সন্ধ্যামালতী বাতাসে ছড়িয়ে দেয় হালকা মিষ্টি সুগন্ধ। সাধারণত ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতা হয়ে থাকে এর গাছের। কান্ড নরম হয়। সারাবছরই সন্ধ্যামালতী গাছে ফুল ফোটে, তবে তা বেড়ে যায় বর্ষা আর শরতে। কিছুটা আদুরে স্বভাবের গাছ সন্ধ্যামালতী। অতিরিক্ত রোদ তার সহ্য হয় না। আবার, একদম স্যাঁতস্যাঁতে জায়গাও পছন্দ নয়। মূলত, আবছা আলো-ছায়াযুক্ত স্থানই সন্ধ্যামালতীর জন্য উপযুক্ত।



Post a Comment

0 Comments